ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

ট্রাম্পের সমর্থক এক ব্যবসায়ী সামরিক শাসন জারির প্রস্তাব নিয়ে হোয়াইট হাউসে

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে সামরিক শাসনের আবদার নিয়ে হোয়াইট হাউসে সমর্থক  (ট্রাম্প) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।


ওয়াশিংটন পোস্টের একজন ফটোগ্রাফার এই ব্যবসায়ীর হাতে ধরা কাগজপত্রের যে ছবি তুলেছেন, সেটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেরকম আলোচনাই চলছে।


বিবিসি জানায়, মার্কিন সংবাদপত্রে শনিবার খবরটি বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া এই ব্যবসায়ীর নাম মাইকেল লিন্ডেল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাই পিলো‌’ বলে একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী। এটি মূলত বিছানা এবং বালিশ বিক্রির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।


শুক্রবার মাইকেল লিন্ডেল হোয়াইট হাউসে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের দিকে যাওয়ার সময় ওয়াশিংটন পোস্টের স্টাফ ফটোগ্রাফার জ্যাবিন বটসফোর্ডের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তিনি।


ছবিতে মিস্টার লিন্ডেলের হাতে ধরা কাগজপত্রে যেসব কথাবার্তা লেখা, তার পাঠ উদ্ধার করে অনেকে আঁতকে উঠেছেন। টুইটারে অনেকে এমন মন্তব্য করেছেন যে, মিস্টার লিন্ডেলের হাত ধরা নোট পড়ে মনে হচ্ছে তিনি যেন যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক শাসন জারির প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন।


উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা শেষ হয়ে যাচ্ছে চার দিন পরেই, তার জায়গায় ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন। তবে ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে জিতেছেন এবং কারচুপির মাধ্যমে জো বাইডেনকে জয়ী দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করে যাচ্ছেন।

 

গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের ডাকে ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হওয়া সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে সহিংস হামলা চালায়। ওই ঘটনার পর কংগ্রেস দ্বিতীয়বারের মতো তাকে ইমপীচ (অভিশংসন) করেছে।


মাইকেল লিন্ডেল হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক। গত শুক্রবারও তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবাই বিশ্বাস রাখুন! আমরা আরও চার বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাব’।


ও‍য়াশিংটন পোস্টের ফটোগ্রাফারের তোলা ছবিতে তার হাতে ধরা নোটের যেসব লেখা পড়া যাচ্ছে তার একটি হচ্ছে ‘মার্শাল ল ইফ ন্যাসেসারি’ (প্রয়োজনে সামরিক শাসন)। আরেক জায়গায় লেখা ‘মুভ ক্যাশ প্যাটেল টু সিআইএ একটিং…’ (ক্যাশ প্যাটেলকে সিআইএর ভারপ্রাপ্ত..)।


ক্যাশ প্যাটেল হচ্ছেন ট্রাম্পের বিশ্বস্ত একজন কর্মকর্তা, যাকে নির্বাচনের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। সেখানে তিনি জো বাইডেনের টিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কাজে বাধা সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হলে সে ক্ষেত্রে সামরিক শাসন জারির পক্ষে মত দিয়েছিলেন এর আগেও কোন কোন সমর্থক। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন রজার স্টোন।


সিএনএনের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা জিম একোস্টা জানিয়েছেন, তিনি লিন্ডেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। লিন্ডেল নিশ্চিত করেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এসব কাগজপত্র মিস্টার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে তার স্টাফদের কাছে জমা দিতে বলেন। তবে তিনি তার নোটে ‘মার্শাল ল’ লেখা ছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেন।






















































































সূত্র: দেশ রুপান্তর

ads

Our Facebook Page